Friday, November 3, 2017

The Bong Commuter : GANGANI – THE (GRAND) CANYON OF BENGAL

The Bong Commuter : GANGANI – THE (GRAND) CANYON OF BENGAL:           Welcome to the “GANGANI – THE (GRAND) CANYON OF BENGAL”.  Whenever the word “Canyon” is used about a destination in India,...

Trek Himalaya's : Trek to Vasuki Tal 4900 mtr. (Part -4)

Trek Himalaya's : Trek to Vasuki Tal 4900 mtr. (Part -4): পর দিন সকালে ঘুম ভাঙ্গল চায়ের ডাকে। চা খেয়ে সমস্ত কাজ শেষ করে তাঁবু গুটিয়ে সবাই তৈরী। আমাদের তাঁবুর কাছে এখনো রোদ এসে পৌঁছয়নি, তাই শরীর ...

Trek to Vasuki Tal 4900 mtr. (Part -4)


পর দিন সকালে ঘুম ভাঙ্গল চায়ের ডাকে। চা খেয়ে সমস্ত কাজ শেষ করে তাঁবু গুটিয়ে সবাই তৈরী। আমাদের তাঁবুর কাছে এখনো রোদ এসে পৌঁছয়নি, তাই শরীর নামক যন্ত্র এখনো চাঙ্গা হয়নি। চা আর খাওয়ার খেয়ে শরীর নামক যন্ত্র কে গরম করার চেষ্টা করেছি। আমাদের কাছে রোদ না এলেও কিন্তু আশে পাশের উঁচু পিকের মাথায় রোদের ঝলক বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে!! আবহাওয়া ও বেশ ঝকঝকে!!
চিরবাসা থেকে ভাগীরথী নদীর ডান দিকে এক উঁচু পাহাড়!! 

আজ যাবো ভুজবাসা, যদিও গত কাল আমাদের চলে যাওয়ার কথা ছিল ভুজবাসা তে, কিন্তু দাদার শরীর খারাপের জন্য চিরবাসা তে থাকতে হয়। যাই হোক, আজ দাদা কে দেখলাম বেস ফুরফুরে, জিজ্ঞাসা করলাম সব ঠিক ঠাক তো?? বলল হ্যাঁ গত কালের থেকে অনেক টাই ঠিক। আবার প্রশ্ন - কোন অসুবিধা?? উত্তর পেলাম - না কোন অসুবিধা নেই। এর মধ্যেই আমরা ঠিক করেছি দাদা আমাদের সাথেই ভুজবাসা যাবে, তারপর টা অবস্থা বুঝে ব্যাবস্থা। আজ দাদার কাঁধে কোন মালপত্র থাকবে না। বদলে স্যাক টা যতটা পারবে বইবে পার্থ আর সায়ন। নাহ, আমি ঐ স্যাক নিতে পারবো না কারন কিছু মাস আগেই আমার পেটে একটা বড় অপারেশন হয়েছে, প্রায় ৭ ইঞ্চির বেশী কাটা হয়েছিল তাই, বেশী ভারী নেয়া যাবে না ডাক্তার স্যারের বারণ আছে। সেই মত দাদা কে বল্লাম তুমি আগে চলে যাও যেখান থেকে আমরা নীচে নেমে এসেছিলাম সেই জায়গায় উঠে ডান দিকে হাঁটতে থাকো আমরা ধরে নেব।
চিরবাসা ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড

আমরাও সবাই খাওয়ার খেয়ে রেডি। দাদা কে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিছু পর পার্থ আর সায়ন কে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে ওরাও বেরিয়ে পড়লো। পড়ে রইলাম আমি আর তারক দা, সাথে আমার পাহাড়ি বন্ধু রা। সমস্ত মাল পত্র গুছিয়ে তাঁবু গুটিয়ে আমি আর তারক দা ও বেরিয়ে পড়লাম এক অজানা রাস্তার দিকে। আজ আমাদের রাস্তা খুব বেশী দুর না। আমার হিসাব বলছিল খুব যদি বেশী হয় তো ঘণ্টা ৩ লাগবে ভুজবাসা পোঁছতে। আজ আমার জীবনের একটা বিশেষ দিন, স্বচক্ষে গোমুখ দর্শন হবে যদিও সেটা কিছু টা দূর থেকেই, হোক-না দূর থেকে দেখতে তো পাবো। তাই একটা আলাদা অনুভূতি নিয়ে ছুটে চলেছি ঐ অমোঘ টানে। কিন্তু এক পেট খাওয়ার খেয়েই স্যাক কাঁধে ঐ টুকু চড়াই চড়তেই বুকে হাঁপ ধরে। তাছাড়া বেশ কিছু মাস পাহাড়ের সাথে চোখা চুখি হয়নি, অসুস্থতার কারনে মাঠের প্র্যাকটিস ও করতে পারিনি, নুন্যতম প্রস্তুতি ছাড়াই পাহাড়ে হাঁটছি। তাই কষ্টটা একটু বেশী ই হচ্ছে, শুধুমাত্র নিজের বিগত অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলেছি। উঠে এলাম ঐ ছোট্ট চড়াই এর মাথায়। এইবার চলা শুরু করলাম ডান দিকে।
ছবির বাম দিকের ঐ উঠে যাওয়া রাস্তা ধরেই এগোতে হবে সামনের দিকে!! 

রাস্তায় মাঝে মধ্যেই দেখা মিলছে কিছু কিছু বাচ্ছা ছেলে মেয়ে দের সাথে, কেউ উঠে চলেছে সামনের রাস্তায়, আবার কেউ নেমে আসছে তার নিজের লক্ষ্য বিন্দু স্পর্শ করে। আবার দুটি দলের সাথেও দেখা হল, ঐ দলের সাথে ৩টি মেয়ে ও ছিল, যারা মাউন্ট শতপন্থ (ভারতের অন্যতম কিলার মাউন্টেন নামে খ্যাত) শীর্ষারোহণ করে ফিরে চলেছে গঙ্গোত্রীর উদ্দেশে।

আনন্দের বিষয় হলও মোটা মুটি দলের সবাই প্রায় বাঙ্গালী। যেটা আমার জন্য আরও আনন্দ দায়ক। তাদের সাথে কুশল বিনিময় আর তাদের সফল অভিযানের সুভেচ্ছা জানিয়ে আবার চলা শুরু করলাম। জানি না কেন ৮ থেকে ৮০ সে ছেলে হোক বা মেয়ে, বাচ্ছা হোক বা বয়স্ক, মহিলা হোক বা সাধু কেন জানি না আমাকে দেখেই প্রায় সবাই আমার সাথে কথা বলছে। অথচ আমি চলছি আমার দলের সবার শেষে। আমার দলের কারোর কারোর পশ্ন ছিল আমার জন্য, ব্যাপার টা কি হ্যাঁ?? সবাই, সে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক বা মহিলা বা সাধু তোমার সাথে হেঁসে কথা বলছে কেন?? আমি উত্তর দিলাম তা আমি কি করে বুঝবো, কেন আমার সাথে কথা বলছে?? আমি বল্লাম আমার তো আর চারটে পা বা একটা লেজ বা দুটো শিং গজায়নি যে লোকে আমাকে দেখে হাসবে আর কথা বলার জন্য এগিয়ে আসবে কি করে করে ঘটনা ঘটলো জানার জন্য। আমার সাথীরা কিছু তেই বিশ্বাস করে-না।
ইনি চলে ছিলেন গোমুখের উদ্দেশ্যে!!  
যাই হোক এই ভাবেই চলতে লাগলাম সামনের দিকে। এই দিকে পার্থ, সায়ন, আর দাদার কারের চিহ্ন মাত্র দেখতে পাচ্ছি না!! মাথায় আবার চিন্তার মেঘ, দাদা কে নিয়ে, কারন গতকাল শরীর খারাপ ছিল, সাথে প্রথম ট্রেক। যাকেই দেখছি জামা কাপড়ের বর্ননা দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি এইরকম পোশাকে কাকেও দেখেছে কি না?? সবার উত্তর না ছিল। আরও চিন্তা বেড়ে যেতে লাগলো, আর পার্থ র ওপর আরও রাগ বাড়তে লাগল আমার। এই কারনেই কি - একটা খবর দিচ্ছে না কেন?? কি দাদা সায়ন ওর সাথে আছে। এর মধ্যেই হোল আর এক ঘটনা, এক জন কে আসতে দেখে তাকে দাঁড় করালাম। সবাই কে যেমন হিন্দিতে জিজ্ঞাসা করছিলাম এইরকম কাকেও দেখেছে কি না?? ঐ লোক টি কেও তাই করলাম হিন্দিতে, ব্লু কালার কি ফুল টিশার্ট পে, আর্মি কালারের প্যান্ট, হাত মে ইয়োলো কালার কি ফেদার জ্যাকেট হ্যা, গোরা সা, চ্যাশমা প্যাহনা হুয়া, শ্যার মে ক্যাপ এইসা কিসি লড়কা কো দেখা ক্যা?? লোকটি দেখলাম হ্যাঁ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আবার জিজ্ঞাসা করলাম দেখা ক্যায়া?? বলে সরি আই কান্ট গেট ইউ, আই এম ফ্রম জার্মানী, সো প্লীজ সে ইন ইংলিশ ওর জার্মান। আমি নিজেই হেঁসে ফেল্লাম। আবার তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, সে ও উত্তর দিল না দেখেনি, অবশ্যই ঐ যতটুকু জানি ইনজিরিতেই বললাম, জার্মান একটু বাড়া বাড়ি হয়ে যাবে। কথা না বাড়িয়ে বিদায় জানিয়ে এগিয়ে চললাম আরও আগে। যেতে যেতে একদম উত্তর পূর্ব কোনায় এক খুব চেনা এক পাহাড়ে মাথা দেখতে পেলাম। কিন্তু আমি ১০০% ঠিক ছিলাম না বলে কিছু বলিনি কাকেও, যেতে যেতেই বার বার দেখতে লাগলাম ঐ পিক কে, তারপর একদম সিওর হলাম হ্যাঁ এইটাই তো বাসুকি পর্বত। ছোটো হলেও বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে। এর আগে আমি কোন দিন নিজের চোখে দেখিনি, যা দেখেছি সব ছবিতেই তাই হতো বিশ্বয় টা একটু বেশীই ছিল আমার চোখে। সে ও একটা সময় আমাদের থেকে লুকিয়ে পড়লো, কি জানি কেন লজ্জা পেলো!! একটা জায়গায় এসে পার্থ র দেখা পেলাম, সাথে সাথেই প্রশ্ন দাদা কই?? বলল সামনে বসে গল্প করছে, ভুজবাসা চলে এসেছি, বল্লাম ওকে চল।
ভুজবাসা ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড
একটু নিচের দিকে নেমে গেলেই ভুজবাসা ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড।এই যায়গায় দাঁড়িয়ে খুব স্পষ্ট ভাবেই দেখা যাচ্ছে গোমুখ কে, মনে মনে একটা আলাদা শিহরন লাগলো, আরও দেখা পেলাম ঐ দূর থেকেই ভাগীরথী গ্লেসিয়ার, ভাগীরথী পিক কেও। নিচে নেমে একটা সুন্দর জায়গা দেখে ফেল্লাম আমাদের তাঁবু।
ভুজবাসায়
 আর আমি আর সায়ন মিলে শুরু করলাম রান্না ঘর বানানোর কাজ। ছোটো ছোটো পাথর দিয়ে দেওয়াল তুলে একটা জায়গা ঘিরে, ঐ দেওয়ালের উপরে ত্রিপল চাপিয়ে তৈরি করলাম রান্নার ঘর। এই দিকে পার্থ আর আমাদের পোর্টার ভাই রা মিলে তাঁবু লাগিয়ে ফেলেছে, দাদা কে জল আনতে পাঠিয়ে ছিলাম সেও ফিরেছে। সায়ন শুরু করল আমাদের জন্য চা করা, আর তার হেল্পার তার সৌমেন্দু দা। এইদিকে আমি,পার্থ, আর তারক দা মিলে শুরু করলাম জায়গা টা একটু পরিষ্কার করতে। চা রেডি, চা খেতে খেতেই একটু চারিদিক চোখ বুলিয়ে নিচ্ছি, বাম দিকে একটা রাস্তা সোজা সুজি চলে গেছে গোমুখের দিকে, গোমুখ খুব একটা বেশী দূর না, খুব বেশী হলে ঘণ্টা দেড় বা দুই, আরও একটু বাম দিক ঘেঁসে সামনে ভাগীরথী পর্বতের দল, তার নিচেই আছে ভাগীরথী গ্লেসিয়ার।পূর্ব দিকে দেখা যাচ্ছে শিবলিঙ্গ পর্বতের মাথার মুকুট টুকু।ঠিক যেন মনে হচ্ছে কেউ মাথায় সাদা রঙের রাজ মুকুট পরে বসে আছে। যেকোনো রক্ত মাংসের ও জামা কাপড় পরা সভ্য মানুষের চোখ টানছেন তিনি। আর ঐ শিভ লিঙ্গের পায়ের নিচেই আছে তপোবন। দেখা যাচ্ছে তপোবন থেকে নেমে আসা আকাশ গঙ্গা কে, অনেক বইতে ও পড়া, আর অনেকের মুখে শোনা সেই আকাশ গঙ্গা আজ স্ব-চখ্যে তার রূপের স্বাদ নিলাম। তার ঠিক নিচ দিয়ে এগিয়ে এসেছে ভাগীরথী নদী। তার গতি পথ দক্ষিণ মুখি। সেই গঙ্গোত্রী থেকে সে এখনো আমাদের ডান দিক দিয়েই বয়ে চলেছে। আর সেই বহু প্রচলিত ও বহু  লাল বাবার আশ্রম আমার পিছনে ফেলে এসেছি। এই জায়গা টা এমন কোন বড় গাছ নেই, ঠাণ্ডা বেশ, কিন্তু আবহাওয়া বেশ পরিষ্কার। তাই এখন আমরা সবাই বাইরে বসে আড্ডা তে। এই দিকে পেটে ছুঁচো ডন দিচ্ছে খাওয়ারের জন্য। সাথে কম বেশী সবার মাথা ধরেছে উচ্চতা জনিত কারনে। দলের নেতা হওয়ার জন্য দলের সবাই কে সুস্থ রাখার দায়িত্ব তাই আমার ওপরই বর্তায়। তাই কোন সদস্যকেই বসতে দিইনি, সবাই কেই তাই কিছু কিছু কাজ দিয়ে দিয়েছি। তারাও বাধ্য ছেলের মতো আমার নির্দেশ মেনে কাজ করে চলেছে। যেমন তারক দা আর সায়ন কে পাঠিয়েছি আমাদের তাঁবুর আশে পাশে যা কিছু আবর্জনা আছে সে গুলো কে পরিষ্কার করার জন্য আর সে গুলো নিয়ে এসে একটা জায়গায় জমা করে রাখতে। পার্থকে পাঠিয়েছি তাঁবুতে গিয়ে সবার শোয়ার বন্দবস্ত করে রাখতে আর কাজ হয়ে গেলে আমার সাথে যোগ দিতে। আর আমি আজ রান্না ঘরে সাথে সৌমেন্দু দা, খাওয়ার বন্দোবস্ত করেতে।
আমাদের অস্থায়ী রান্না ঘর!!
প্রথমে কফি করে পাঠিয়ে দিলাম অন্য সদস্য দের জন্য। সাথে একটা আদেশ ও, কেউ যেন এখন তাঁবুর ভেরত না যায়। বাইরেই যেন বসে থাকে!! আর আড্ডা টা যেন আমার রান্নাঘর থেকে দেখা যায়। বলার পর নিজে কফি খেতে খেতেই শুরু করলাম দুপুরের খাওয়ার। সবার মত দেরি হয়েছে আজ আমরা দেরি করেই বেরিয়েছি, প্রায় বিকাল হয়ে গেছে, তাই এখন সবজী দিয়ে চাউমিন করো, সবার আদেশ শির-ধার্য করে তাই করলাম। সবজির মধ্যে ছিল গাজর, কাঁচা মটর কড়াই, ফুল কপি, একটু বাঁধা কপি (চেয়ে পাওয়া) আর একটু আলু ব্যাস। এইদিকে সবাই ফিরেছে তাদের দেওয়া কাজ শেষ করে। সবাই একসাথে বসে আমরা সব সদস্যরা সাথে আমাদের পোর্টার ভাই রাও বসে পড়লাম চাউমিন খেতে। অন্য সদস্যদের থেকে জানলাম রান্না নাকি ভালোই হয়েছে। কি জানি কি হয়েছে, কোন দিন রান্না করিনা, ঐ যে টুকু মাঝে মধ্যে পাহাড়ে যাই তখনি ঐ একটু আধটু। উদর পূর্তি পর্ব শেষ করে আবার সদস্যদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম জায়গাটা ঘুরে দেখার জন্য। আর যেতে গিয়েই আমার চোখে পড়ে গেল দুটি মেয়ের উপরে, তারা দুই জনেই এতো সুন্দর যোগা করছে যে সেটা দেখার পর আমি দাঁড়িয়ে পড়ছি। তার কারন ওতো উচ্চতায় যোগা, সাথে এতো গ্রেসফুল যে না দেখলে বোঝানো যাবে না!! কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও ছবি তুলতে পারিনি!! সময় জায়গা টাকে একটু এই দিক ঐ দিক ঘুরে দেখা!! সেই মতো যে যার মতো নিজের ইচ্ছা মতো করে নিজেরাই ঘুরে বেড়াচ্ছে!! আমি ও বেরিয়ে পড়লাম ক্যামেরা আর জলের বোতল হাতে!! আমার পছন্দ ঐ ভাগীরথী কেই!! তাই আমার পা আবার সেই দিকেই!!  এই ভুজবাসা তে হাওয়ার প্রকোপ খুব বেশী, তাই কোন বড় গাছ নেই আছে গুল্ম জাতীয় ছোটো গাছ আর কিছু ঐ জাতীয় ঘাস!!
নাম না জানা বুনো ফুল
সেই আবার ভাগীরথীর সাথে গল্প করতে চলে গিয়েছি তার কাছে আমরা দুইজনে!! বসে আছি তার কাছেই, কি বলছে বুঝতে পারছি না এতোই তার গতি, শুনতে শুনতে ক্লান্তি যখন আমার চোখে, সে মাঝে মধ্যেই তার জলের ছিটেয় আমাকে আবার সজাগ করে দিয়ে বলে চলেছে তার সুখ দুঃখে কথা শোনার জন্য!!
সোজা ভাগীরথী পিক আর সামনেই ভাগীরথী নদী!! 
সূর্যের আলো কমার সাথে সাথেই তেড়ে এলো জোরাল হাওয়া, সাথে চলল তাদের তাণ্ডব লীলা!! তক্ষণে আমরা তাঁবুর আশ্রয়ে, তাঁবুও যেন উড়ে যাওয়ার জোগাড়,  ব্যেক্তি গত ভাবে আগে বহু বার এই রকম বিরূপ আবহাওয়ার মুখো মুখী হলেও আমার বাকি সদস্যরা ভয়ে কুপ কাৎ!!
সূর্য তখন অস্থাচলে!!

বিরূপ আবহাওয়ার মুখো মুখী আমরা
তাদের বুঝিয়ে বল্লাম কি হতে পারে আর ওরা কি ভাবছে। সবাই আমার কথায় চুপ করে গেলো!! জমিয়ে চলল তাস খেলা, আর সাথে চায়ের চুস্কি। আর আমাদের পাহাড়ী বন্ধুরা আমাদের ছুটি দিয়েছে রান্না থেকে। বলল ওরাই রান্না করবে, সম্মতি দিয়ে ও দিয়েছি। ওরা রান্নায় ব্যাস্ত। মাঝে মধ্যেই ডাক পড়ে সিগারেটের জন্য!! সেই আবাদার ও মেটাচ্ছি। আস্তে আস্তে হাওয়ার তীব্রতা কমেছে, মেঘ সরে গিয়ে চাঁদ মামার দেখাও মিলল। সব ছেড়ে আবার সবাই তাঁবুর বাইরে। এরই মধ্যে রান্না শেষ, মেনুতে রুটি আর সয়াবিন আলুর তরকারী, তাই দেরি না করে নিজের নিজের খাওয়ার খেয়ে আবার তাঁবু তে, সুখ নিদ্রার জন্য। কাল আবার তাড়া তাড়ি উঠে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। জানালাম সবাই কে শুভ রাত্রি।।

বিশেষ 
১.দয়া করে অপেক্ষা করুন পরের সংখ্যার জন্য, খুব তাড়া তাড়িই প্রকাশ করবো।
২.আপনাদের মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম, আশা করি জানাবেন।
৩. যদি ভালো লাগে শেয়ার করবেন আপনার বন্ধু, বা আপনার পরিচিতদের মধ্যে!!

ধন্যবাদ।।
সুব্রত!!